1. info@www.schoolnews.com.bd : স্কুল নিউজ :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বান্দরবানে নেকাব পরে আসায় শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ স্কুল মাঠে ধান মাড়াই, বাধা দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে মা-র-ধ-র দশম গ্রেড পাচ্ছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা, সহকারী শিক্ষক ১২তম আবু সাঈদ হত্যায় সংশ্লিষ্ট ৪ শিক্ষার্থীর আবাসিকতা বাতিল এবার সারাদেশের সব পলিটেকনিকে টানা শাটডাউন ঘোষণা এবার কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করবেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আট দাবি নিয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয় আন্দোলনে ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলো শিক্ষার্থীরা গুজব তারাই ছড়ায়, যাদের কোনো সামর্থ্য নেই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধনের সংশোধিত গেজেট প্রকাশ

বান্দরবানে নেকাব পরে আসায় শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

স্কুল নিউজ
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানঃ বান্দরবানে বেসিক ট্রেনিং অন প্রাইমারি টিচার্সের ভাইভা পরীক্ষায় নেকাব পরে অংশ গ্রহণ করায় এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খানের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের রেইচা এলাকায় (পিটিটিসি) প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে প্রাইমারি শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ভাইভা পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রাইমারি শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের শেষ দিনের ভাইভা পরীক্ষায় নেকাব পরে অংশ নেন লামা উপজেলার রুপসী পাড়া চিমকুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাশরুফা। এসময় ভাইভা বোর্ডে থাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান ওই শিক্ষিকাকে নেকাব পরে আসার কারণে বিভিন্ন কথা বলে হেনস্থা করেন। পরে ওই শিক্ষিকা পরীক্ষা শেষে বাইরে এসে তার ছোট ভাইকে বিষয়টি জানালে সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওঠে সমালোচনার ঝড়।

এ বিষয়ে লাঞ্ছনার শিকার ওই শিক্ষিকা মাশরুফা বলেন, আজকে আমাদের ট্রেনিংয়ের শেষ দিন ছিল। যথারীতি আমি নেকাব পরে ভাইভা দিতে যাই। তখন ডিপিও স্যার আমাকে বলেন তুমি নেকাব পরে আসছো কেন? এত পর্দা করলে তুমি প্রাথমিক শিক্ষক হতে আসছো কেন? তখন আমি স্যারকে উত্তর দেই, আমি ধর্মীয় কারণে আগে থেকেই পর্দা করি। তখন স্যার আমাকে বলেন নেকাব পরে কোনো ধর্মীয় পাপ মোচন হবে?’ তিনি আমাকে আরও বলেন এটার কারণে গতকালও আমি একজনকে সাসপেন্ড করে আসছি। তখন আমি বলেছি, স্যার আমি চাকরি নেয়ার ভাইভা পরীক্ষাতেও নেকাব পরে গেছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আর কথা না বলে চলে এসেছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, বিটিপিটি ভাইভা বোর্ডের আমি একজন সদস্য। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। আমি ওই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞেস করেছি আপনি নেকাব পরে আছেন আপনাকে তো চিনা যাচ্ছে না। অনেকে প্রক্সি পরীক্ষা দেন। আর আপনি কি স্কুলে বাচ্চাদের নেকাব পরে পড়ান? তখন তিনি বলেছেন, না নেকাব খুলে পরাই। ব্যাস, তখন আমি আর কিছু বলিনি।

উল্লেখ্য, মোফাজ্জল হোসেন খান গত ১০ ফেব্রুয়ারি জামালপুর থেকে বদলি হয়ে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করেন। তবে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান তাকে গ্রহণ করেননি। পরে জেলাপ্রশাসকের অনুরোধে তাকে গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© স্কুল নিউজ, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট