1. info@www.schoolnews.com.bd : স্কুল নিউজ :
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বান্দরবানে নেকাব পরে আসায় শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ স্কুল মাঠে ধান মাড়াই, বাধা দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে মা-র-ধ-র দশম গ্রেড পাচ্ছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা, সহকারী শিক্ষক ১২তম আবু সাঈদ হত্যায় সংশ্লিষ্ট ৪ শিক্ষার্থীর আবাসিকতা বাতিল এবার সারাদেশের সব পলিটেকনিকে টানা শাটডাউন ঘোষণা এবার কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করবেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আট দাবি নিয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয় আন্দোলনে ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলো শিক্ষার্থীরা গুজব তারাই ছড়ায়, যাদের কোনো সামর্থ্য নেই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধনের সংশোধিত গেজেট প্রকাশ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট পাবে না জিপিএ-৫ পাওয়া লাখো শিক্ষার্থী

স্কুল নিউজ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় গত ১৫ অক্টোবর। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফল বলে বিবেচিত জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। ফল পুনঃনিরীক্ষণে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

জিপিএ-৫ পাওয়াসহ যারা তুলনামূলক ভালো ফল করেছেন, তাদের অধিকাংশের লক্ষ্য পাবলিক বিশ্ববিদালয়। বিশেষ করে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, খুলনা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান তারা। তাছাড়া বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট এবং সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মুখিয়ে থাকেন।
অথচ দেশের সব ধরনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবমিলিয়ে ভর্তিযোগ্য শূন্য আসন মাত্র ৫৫ হাজারের মতো। সেই হিসাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীদের বড় অংশই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। তাছাড়া জিপিএ-৫ না পেলেও কাছাকাছি ফল করা অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে ভর্তির জন্য জায়গা করে নেবেন। এতে জিপিএ-৫ ধারী লাখো শিক্ষার্থীর কপাল পুড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও উচ্চশিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক কলেজগুলো ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা বিবেচনায় সবাই ভর্তির সুযোগ পাবেন। উচ্চশিক্ষা থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না। তবে শীর্ষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের রীতিমতো যুদ্ধে নামতে হবে। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী পাবেন না। ফাঁকা থেকে যাবে তাদের আসন।

ইউজিসির সবশেষ (২০২২) প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী—দেশের ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ৫৪ হাজার ৫১৫টি। নতুন চালু হওয়া আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭০০ আসন তৈরি হয়েছে। সেই হিসাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (জাতীয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে) সর্বমোট আসন ৫৫ হাজারের কিছু বেশি।

মেডিকেল ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ও ডেন্টালে ভর্তির আগ্রহ থাকে ভালো ফল করা শিক্ষার্থীদের। সেখানেও তীব্র লড়াই চলে। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলে শূন্য আসন রয়েছে ১২ হাজারের কিছু বেশি। তাছাড়া দেশে চালু থাকা দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাজীপুরের আইইউটি ও চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন) আসন ৪৪০টি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ১ লাখ ৬৫ হাজার
ইউজিসির সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী—বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে আসন সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারের কিছু বেশি। তখন চালু ছিল ১০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-উপাত্ত এ পরিসংখ্যানে যুক্ত হয়নি। আর নতুন করে আরও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। সেই হিসাবে সবমিলিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজারের মতো আসন রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

যদিও সুখ্যাতির বিবেচনায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনালসহ হাতেগোনা ১০-১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয়।

তবে এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মতো আর্থিক সংগতি নেই সবার। ফলে শুধু উচ্চবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা এসব বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তির টার্গেট করেন। অবশ্য সব জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় না পেয়ে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েও বাধ্য হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকেন।

প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে খরচের ব্যবধানকে দেশের সবচেয়ে বড় বৈষম্য মনে করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সব সময় সরকারের কাছে দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরে আসছি। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার খরচে বিস্তর যে ফারাক, তা অবশ্যই কমাতে হবে। এটা শ্রেণিবৈষম্য তৈরির বড় জায়গা।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© স্কুল নিউজ, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট